প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা দ্বিগুণ করা হচ্ছে। মেরামত ও সংস্কারের কাজের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন ‘স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (স্লিপ)’ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকরা এখন ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত সরাসরি খরচ
করতে পারবেন, যা আগে দেড় লাখ টাকা ছিল। এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।
তিনি জানান, “প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি, নির্মাণ বা মেরামতের কাজের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারের যৌথ স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হবে। দুজনের অনুমোদন ছাড়া কোনো বিল দেওয়া হবে না।”
মহাপরিচালক আরও বলেন, “আমরা আগামী দিনে প্রধান শিক্ষকদের আরো ক্ষমতা দিতে চাই। সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে জরাজীর্ণ কোনো স্কুল থাকবে না।”
বর্তমানে সারা দেশে ১৩,৫০০ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। মহাপরিচালক জানিয়েছেন, নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আগামী নভেম্বরেই প্রকাশিত হতে পারে। এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের এগারতম গ্রেডের সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, চলমান মামলার রায় দ্রুত আসার পর এই ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ হবে এবং শূন্য থাকা সহকারী শিক্ষক পদগুলো নতুন নিয়োগের জন্য উন্মুক্ত হবে।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। লিডারশিপ ট্রেনিংসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরও ইনক্লুসিভ ও কার্যকর করার জন্য কাজ চলছে।
